Thursday, April 12, 2018

ফ্রীলেন্সার হয়ে তৈরি করুন নিজের আইটি ফার্ম - পার্ট 3

ফ্রীলেন্সার হয়ে তৈরি করুন নিজের আইটি ফার্ম

কাজ কীভাবে ভাগ করে দিবেন?
আমি এই কাজ ভাগ করার ব্যাপারটি কয়েকটি ভাগ ভাগ করবো
১) টপ লেভেল : প্রজেক্ট হোল্ডার এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার আর প্রজেক্ট কো অর্ডিনেটর।
প্রজেক্ট হোল্ডার বলতে আমি বুঝিয়েছি যে কাজ আউটসোর্স করবে। প্রজেক্ট হোল্ডার প্রজেক্ট নিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার এর কাছে ট্রান্সফার করবে ডাইরেক্টলি এবং সম্পূর্ণ কাজ প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর কে বুঝিয়ে দিবে।
প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং কোঅর্ডিনেটর সেই কাজ গুলো টিমের অন্য মেম্বারদের বুঝিয়ে দিবে। টিমের মেম্বারদের কীভাবে বুঝাবে সেই ব্যাপারটা একটু পরে লিখছি।
কাজ বুঝানোর পর কোঅর্ডিনেটর কাজের পরিচালনা করবে। কাজের ভুল ত্রুটি দেখে দিবে এবং সমস্যা সমাধান করবে। কাজ শেষ হলে দিনের শেষে কাজ কোঅর্ডিনেটর তার প্রজেক্ট ম্যানেজার এর কাছে সব কাজের আপডেট দিয়ে দিবে। তখন প্রজেক্ট ম্যানেজার এবং কোঅর্ডিনেটর মিলে কাজ গুলো এনালাইজ করবে এবং একটি রিপোর্ট তৈরি করবে। রিপোর্ট তৈরির ব্যাপারটিও পরে বুঝাচ্ছি।
রিপোর্ট কমপ্লিট হলে প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রজেক্ট হোল্ডার এর কাছে ট্রান্সফার করবে ওয়ার্কিং আওয়ার এর পর। তখন প্রজেক্ট হোল্ডার কমপ্লিট কাজের আপডেট ক্লায়েন্টকে দিয়ে দিবে রিপোর্ট অনুযায়ী। অবশ্যই প্রজেক্ট ম্যানেজার এর সব রিপোর্ট কারেক্ট হতে হবে নাহলে ক্লায়েন্ট রেগে যেতে পারে এবং প্রজেক্ট এ প্রবলেম হবে। এইভাবেই প্রজেক্টটি কমপ্লিট করতে হবে।
টিম মেম্বার এর কাজ :
টিম মেম্বার এর তিনটি স্তর থাকতে হবে:
১) স্টার্টার টিম
২) ব্যাকআপ টিম
৩) ফিনিশিং টিম
এই সেকশন গুলোতে আপনি ১ জন করেও নিতে পারেন কাজের পরিমাণ অনুযায়ী।
স্টার্টার টিম আপনার কাজগুলো শুরু করবে এবং তার কাজের পরিমাণ অনুযায়ী কাজ করে সময়ের ভিতর আপডেট দিবে। যদি না দেয় তাহলে তার উপর জরিমানা করবেন এবং কাজ ভালো করলে পুরস্কৃত করবেন।
ব্যাকআপ টিম হচ্ছে যদি কাজের প্রেশার বা কাজের প্রমাণ বেশী থাকে তাহলে তাকে দিয়ে কাজ করাবেন। অথবা এক্সট্রা যেসব কাজ থাকবে সেগুলো করিয়ে নিবেন। তার সেলারি টা একটু কম থাকবে যখন কাজ বেশী থাকবে তখন তাকে বোনাস হিসেবে কাজের পেমেন্ট দিয়ে দিবেন। তাতে করে আপনার কাজের কোনো ক্ষতি হবার সম্ভবনা কম থাকে।
ফিনিশিং টিম এইটা হচ্ছে সব থেকে অবহেলিত টিম  এদের কাজের পরিমাণ ও কম এবং সুযোগ সুবিধাও কম। এদের কাজ হচ্ছে স্টার্টার টিম আর ব্যাকআপ টিম কাজ শেষ করার যেইসব কাজ পরে থাকবে কিন্তু ক্লাইন্ট এর মন রক্ষ করতে করতে হবে তা এই ফিনিশিং টিম করবে। ছোট ছোট কাজ গুলো এই টিম কে দিয়ে করাবেন।
নোট : কখই একই কাজ একজন কে দিয়ে পুরাটা করবেন না তাহলে সে কাজ করতে বিরক্তবোধ করবে তাই কাজ টা তিনভাগে বিভক্ত করবেন। তাহলে কাজ আরামসে হয় যাবে। মন বলতে একটা কথা আছে না?
কাজ মেইনটেইন করার জন্য আমি কিছু সফটওয়ার ব্যাবহার করি যা আমার অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয়। আপনি চাইলে নিজেও একটি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার বানিয়ে নিতে পারেন ইচ্ছা মত। আমি আপনাকে যে সফটওয়ার গুলোর কথা বলবো টা অফিসিয়াল ক্ষেত্রে খুবই জরুরী এবং সময় বাঁচানোর জন্য খুব প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন বড় বড় বাহিরে আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাবহার হয়। আমার সুইজারল্যান্ডের ক্লায়েনট এর মেনেজমেন্ট সিস্টেমেও একি সফটওয়ার ব্যাবহার করা হয়।
Trello.com: Trello হচ্ছে খুবই কার্যকরী একটি ওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার। এই সফটওয়ার এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিভিন্ন কাজের লিস্ট,কাজের বিবরণ, সময় এবং কাজের প্রগ্রেস দেখতে পারবেন।
আপনার প্রতিটি কাজের জন্য একটি বোর্ড তৈরি করতে হবে। বোর্ড তৈরি করার পর সেই বোর্ড এর মধ্যে আপনার কাজের লিস্ট গুলো দিতে হবে।
তারপর আপনি আপনার টিম মেম্বারদের সেই বোর্ডে অ্যাড করে নিতে পারেন। Trello.com শান্ সম্পর্কে বিস্তারিত আমি একটি ভিডিও বানানোর চেষ্টা করবো। অথবা আপনারা ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন। এই সফটওয়ারটি এর অনেক ভিডিও পাবেন।
গুগোল স্প্রেডশীট : গুগোল স্প্রেডশীট হচ্ছে এক্সেল শিট এর মত গুগল এর একটি সার্ভিস। এই শিট এর মধ্যে আপনি আপনার যাবতীয় কাজের লিস্ট করে রাখতে পারেন।অনলাইন থেকেই আপনি এই শিটটি এডিট করতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ম অ্যাপ : আপনার ক্লায়নট এর কাজের ডেলিভারি টাইম এর একদিন আগে এবং ২ ঘণ্টা আগে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন তাতে করে আপনার অনেক কাজ থাকাকালীন অবস্থায় কাজ কখন কোনটা ডেলিভারি টাইম হবে বুঝতে সুবিধা হবে। অনেকেই যারা ফাইবারে কাজ করেন তারা বিশেষ করে এই অ্যাপ গুলো ব্যাবহার করতে পারেন ফাইবার এর অর্ডার অনুযায়ী।

Wednesday, April 11, 2018

ফ্রীলেন্সার হয়ে তৈরি করুন নিজের আইটি ফার্ম - পার্ট ২

ফ্রীলেন্সার হয়ে তৈরি করুন নিজের আইটি ফার্ম

Now Let's start the important level of team work for agency
5. Work with one partner for team work
সঠিক পার্টনার আর বিয়ের জন্য মেয়ে খোজা একই কথা😛 । আমি একটু আগেই বলেছি যে কমিউনিটি তে জয়েন থাকতে । তাহলে অনেক মানুষ এর সাথে রিলেশন বিল্ডআপ হবে। সেখান আপনাকে একজন চুজ করতে হবে বিজনেস এর জন্য অথবা কোনো ফ্রেন্ড এর সাথেই শুরু করতে পারেন একটি বেসিক পার্টনারশিপ। অবশ্যই নিজেকে যাচাই করে নিতে হবে যে আপনি যাকে নিয়ে কাজ করছেন তার সাথে কতদিন ফিউচার কাজ করা যায়।
২ মাস পার্টনারশিপে কাজ করে দেখুন। তারপর প্রবলেম বের করুন এবং তা শুধরানোর চেষ্টা করুন। কাজ করতে অনেক ভুল হতেই পারে তা এডজাস্ট করে নিন। যদি না হয় তাহলে অন্য কারো সাথে চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন চেষ্টা করলে কেস্ট মিলে। চেষ্টা করতে থাকুন দেখবেন আপনার ইচ্ছা মত পেয়ে গিয়েছেন।
একটা কথা মনে রাখবেন আপনার দক্ষতা মিনিমাম ৩০% এর বেবধান থাকতে পারে। বেশী বেবধাণ থাকলে কাজ করতে অসুবিধা হবে।
একজন কাজ আউটসোর্স করতে পারলে আরেকজন কাজ করতে হবে। যদি দুইজনই কাজ আউটসোর্স করতে জানেন তাহলে কিছুটা প্রব্লেম হতে পারে।
যখন কাজ করবেন তখন একজন শুধু কাজ আউটসোর্স করে নেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং রিসার্চ করবেন। আর আরেকজন শুধু কাজ করবেন। তাহলে অনেক কাজ পেতে এবং কাজ করতে সুবিধা হবে। একসাথে দুটি করার চেষ্টা টা ভুল হবে।
ধরুন কাজের পরিমাণ বেড়ে গেলো তখন অন্য আরেকজন ফ্রিল্যান্সার হায়ার করার চেষ্টা করুন এবং তাকে দিয়ে কাজ টা করিয়ে নিন নিজেদের পকেটে কিছু রেখে। তাতে করে এক্সট্রা একটি প্রফিট আসবে। অবশ্যই যে কাজ করে সেই কাজ টা অন্যকে দিয়ে করাবে এবং যে কাজ আউটসোর্স করে সে কোনো কাজে হাত দিবেনা। তাহলে দেখবেন কাজ অনেক তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গিয়েছে।
আবারও বলছি যে কাজ আউটসোর্স করবে সে কোনো কাজ করতে পারবেনা তাহলে আপনাদের আয় বেশী ভালো হবেনা সব সময় এই দিক টা খেয়াল রাখবেন।
পার্টনারশিপের নিয়ম কখনো ব্রেক করবেন না। যে রুলসে কাজ করছেন ঠিক সেই রুলেসে কাজ করুন। মানে যে রুলসে আপনারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
6. Earning should be minimum $700 to $1500 per month
$700 থেকে শুরু করে $1500 পর্যন্ত আয় করার চেষ্টা করবেন। টিম মেম্বার বৃদ্ধি পেলে কাজের পরিমাণ এবং প্রাইস বাড়িয়ে দিন। আমি যখন অফিস শুরু করি তখন আমার আয় ছিল প্রায় প্রতি মাসে ১২০০ ডলার এর উপরে যা দিয়ে আমি ৪ জন টিম মেম্বার নিয়ে কাজ করতাম। সবসময় কম কাজে প্রাইস ভ্যালু বেশী নেওয়ার চেষ্টা করবেন ভালো সার্ভিস দিয়ে।
মার্কেটপ্লেস এর কিছু ভ্রান্ত ধারণা:
১) কম প্রাইস কাজ করে বায়ার পটানুর চেষ্টা করা
২) একটি কাজের উপর সার্ভিস দেওয়া
৩) যেকোনো প্রাইস এর কাজ পেলেই সেই কাজ লুফে নেওয়া
৪) ক্লায়েন্টকে ডেডলাইন দিয়ে ভুগোচুগী বুঝানো
৫) টার্গেট ছাড়া কাজ করা
৬) কাজ করার পর কাজের দক্ষতা না বাড়িয়ে কাজ করা। সবসময় কিছু না কিছু আপডেট হয় তাই সবসময় কী কাজ করলে স্কিল ডেভেলপ হবে তার দিকে নজর রাখুন।
7. Payment methods for Get and Spend payment
এখন কথা হচ্ছে পেমেন্ট মেথড নিয়ে : কীভাবে টাকা উইথড্র করবেন?
টাকা উইথড্র করার জন্য পপুলার মেথড গুলো হচ্ছে পেপাল, পেওনিয়ার, স্ক্রিল অথবা পেয়জা।
তবে সিকিউর পেমেন্ট মেথড হচ্ছে পেওনিয়ার এবং স্ক্রিল বাংলাদেশ এর জন্য। পেপাল বাংলাদেশ সাপোর্ট করেনা তাই আমি পেপাল ব্যাবহার করতে বলবোনা। যদিও বা অনেকেই ব্যাবহার করে ভালো ভালো ধরা খায়। ইতিহাস নাই বললাম।
তবে পেপাল এর জন্য আপনার 2Checkout ব্যাবহার করতে পারেন। নিজস্ব ওয়েবসাইট এর সার্ভিস এর জন্য। এর দ্বারা আপনি পেপাল এর সার্ভিস বা কমার্শিয়াল সুবিধা পেয়ে যাবেন।
তাছাড়া জুম ব্যাবহার করে আপনার ক্লায়েন্ট এর কাস থেকে পেপাল সুবিধা নিতে পারেন তবে ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে বলতে হবে।
পেমেন্ট দেওয়ার জন্য ব্যাবহার করতে পারেন Western Union অথবা ইস্টার্ন ব্যাংক এর একুয়া প্রিপেইড কার্ড। যা দ্বারা আপনি আপনার অনলাইন শপ অথবা যেকোনো পেমেন্ট দিতে পারবেন মাস্টার কার্ড থেকে মাস্টার কার্ডে।
8. Teach your friends,brother, cousin or personal trustful person
ঠিক এইভাবে কাজ করতে করতে আপনি আপনার আরেকজন আত্মীয়স্বজন অথবা ফ্রেন্ডকে কাজ শিখানোর চেষ্টা করুন। এইভাবে এক একজন করে টিম মেম্বার বাড়ান। টিমের মেম্বারদের একটি স্কিলের উপর বিভন্ন প্রকার কাজের ধারনা দিন। এক এক জনকে এক এক টাইপের স্পেশালিষ্ট করে তুলুন। আমি আমার টিম করার জন্য প্রায় ৫০ থেকে ৭০ জন লোককে শিখিয়েছি। কেউ প্রথম দিনের মাথায় গায়েব হয়ে গিয়েছে আবার কেউ ৭ দিনের মাথায় পুরো দুনিয়া থেকে উধাও। তাই কখন চিন্তিত হবেনা না। চেষ্টা করে যাবেন শিখিয়ে টিম হিসেবে তৈরি করার। তাতে করে আপনার কাজের কোনও প্রকার সমস্যা হবেনা। সবাইকে অবশ্যই কাজের বেসিক জানা থাকতে হবে। তারপর তারকে যেকোনো একটি কাজের দক্ষ করে তুলবেন। মনে রাখবেন ফার্ম শুরু করার সময় আপনার অবশ্যই কিছু টিম মেম্বার লাগবে যারা আপনার আয় না হলেও আপনার সাথে থাকবে। কারন অফিসিয়াল যেকোনো কাজেই নুন্নতম ৬ মাস আয়ের থেকে লস হয় তাই তাদের কে দিয়ে কাজ করান এবং বেশী বেশী কাজ আউটসোর্স করার ট্রাই করুন। নিজেদের কাজ করে নিজেদের স্কিল করে তুলুন।
10. Rent a office for better Quality and mindset

এইবার হচ্ছে আপনাদের যুদ্ধের ময়দানে নামার সময়। উপরের সব কিছু ঠিক থাকলে একটি অফিস রেন্ট করার চেষ্টা করুন। অফিসের বিভিন্ন জিনিষ পত্র কেনার চেষ্টা করুন। অফিস হচ্ছে আপনার টিম ওয়ার্ক এর প্রধান অস্ত্র। যদি অফিস না থাকে তাহলে আপনার টিম বেশী দিন ধরে রাখতে পারবেন বলে মনে হয় না। অফিসে টিম ওয়ার্ক করলে কাজ ফাঁকি দেওয়া এবং প্রজেক্ট এর বিভিন্ন সমাধান থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাছাড়া টিম এর সবাই মিলে কাজ করলে অনেক টুকু সময় কাজ করতে ভাল লাগে যা ঘরের ভিতর একা একা করতে গেলে অসহ্য লাগে।
অফিসে মিনিমাম ২ টি রুম দেখে রেন্ট করবেন। একটি তে কাজ করানো হবে আরেকটিতে টিম ম্যানেজমেন্ট অথবা টপ লেভেল এর জন্য বরাদ্দ থাকবে। তাতে করে একটি অফিসিয়াল ফ্লেবার কাজ করবে যেটা অফিসের ক্ষেত্রে অনেক জরুরী। অনেকেই ভাবেন যে একটি রুমের মধ্যেই সব কাজ করে ফেলবেন। টা অবশ্যই করতে পারবেন কিন্তু আপনার সিকিউরিটি বলতে কিছুই থাকবেনা। প্রতিটি কাজের একটা সিকিউরিটি থাকা জরুরি। ধরুন আপনি একি রুমে কাজ করছেন আপনার টিম এর সাথে এতে করে আপনার নিজের ই ক্ষতি কারন যারা কাজ করে তাঁরা সব কিছুই দেখতে পারবে এবং অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হবে।
রেন্ট আপনাদের বাজেট এর মধ্যে রাখবেন এবং যত কমে পারা যায় তত ভাল ভাল প্রথম অবস্থায়।
মনে রাখবেন রেন্ট দিলেই কাজ শেষ নয়। আপনাকে ইন্টারনেট বিল দিতে হবে, বিদ্যুৎ বিল দিতে হবে, আরো অন্যান্য খরচ আছে। যেটা আপনি নিজেও বুঝবেন না। যেমনটা আমি মাঝে মধ্যেই টের পাই না আর চিন্তা করি আমার টেকা গেলো কই?
যতজন টিম মেম্বার থাকবে ততজন এর জন্য অফিসিয়াল পিসি অথবা ল্যাপটপ রাখবেন। আমার অফিসের সবাই ল্যাপটপ ব্যাবহার করে তাই আমার দরকার পড়ে নাই। যদি সবার ল্যাপটপ থাকে তাহলে সব থেকে ভালো হয়। অফিস নেওয়ার পর যদি বাহিরের কাওকে হায়ার করেন তাহলে তখন একটি পিসি রাখার চেষ্টা করুন।
টেবিল চেয়ার এবং অন্যান্য সামগ্রিক বাজেট তৈরি করুন। এবং তা ক্রয় করার চেষ্টা করুন। একসাথে করতে না পারলে প্রতিমাসে করুন।
অফিস এর জন্য একটি নিয়ম এবং নীতিমালা তৈরি করুন এবং তা মেনে চলুন।
প্রথমে ১০ ঘণ্টা করার চেষ্টা করবেন এবং তারপর তা ৮ ঘণ্টায় নামানোর চেষ্টা করুন। কারণ এর থেকে বেশী কাজ করতে চাইলে আপনি ক্লান্ত হতে ডিপ্রেসড হতে পারেন। আমি বেশী করার কারণে একটু অস্বস্থি ফিল করতাম তাই পরে কাজ এর সময় ভাগ করে নেওয়ার কারণে অনেকটুকু রিলিফ লাগে এবং বেশী বেশী কাজ করতে ভালো লাগে।
কাজ মেইনটেইন:
কাজ মেইনটেইন করার জন্য আমি কিছু সফটওয়ার ব্যাবহার করি যা আমার অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয়। আপনি চাইলে নিজেও একটি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার বানিয়ে নিতে পারেন ইচ্ছা মত। আমি আপনাকে যে সফটওয়ার গুলোর কথা বলবো টা অফিসিয়াল ক্ষেত্রে খুবই জরুরী এবং সময় বাঁচানোর জন্য খুব প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন বড় বড় বাহিরে আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাবহার হয়। আমার সুইজারল্যান্ডের ক্লায়েনট এর মেনেজমেন্ট সিস্টেমেও একি সফটওয়ার ব্যাবহার করা হয়।
Trello হচ্ছে খুবই কার্যকরী একটি ওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ার। এই সফটওয়ার এর মাধ্যমে আপনি আপনার বিভিন্ন কাজের লিস্ট,কাজের বিবরণ, সময় এবং কাজের প্রগ্রেস দেখতে পারবেন।
আপনার প্রতিটি কাজের জন্য একটি বোর্ড তৈরি করতে হবে। বোর্ড তৈরি করার পর সেই বোর্ড এর মধ্যে আপনার কাজের লিস্ট গুলো দিতে হবে।
তারপর আপনি আপনার টিম মেম্বারদের সেই বোর্ডে অ্যাড করে নিতে পারেন। Trello.com শান্ সম্পর্কে বিস্তারিত আমি একটি ভিডিও বানানোর চেষ্টা করবো। অথবা আপনারা ইউটিউব থেকে দেখে নিতে পারেন। এই সফটওয়ারটি এর অনেক ভিডিও পাবেন।
গুগোল স্প্রেডশীট :
গুগোল স্প্রেডশীট হচ্ছে এক্সেল শিট এর মত গুগল এর একটি সার্ভিস। এই শিট এর মধ্যে আপনি আপনার যাবতীয় কাজের লিস্ট করে রাখতে পারেন।অনলাইন থেকেই আপনি এই শিটটি এডিট করতে পারবেন।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ম অ্যাপ : আপনার ক্লায়নট এর কাজের ডেলিভারি টাইম এর একদিন আগে এবং ২ ঘণ্টা আগে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন তাতে করে আপনার অনেক কাজ থাকাকালীন অবস্থায় কাজ কখন কোনটা ডেলিভারি টাইম হবে বুঝতে সুবিধা হবে। অনেকেই যারা ফাইবারে কাজ করেন তারা বিশেষ করে এই অ্যাপ গুলো ব্যাবহার করতে পারেন ফাইবার এর অর্ডার অনুযায়ী।

Source:  Prince Chowdhury

ফ্রীলেন্সার হয়ে তৈরি করুন নিজের আইটি ফার্ম – পার্ট ১

বর্তমানে আইটি ব্যাবসা অনেক জনপ্রিয় এবং আইটি বিষয়ক স্কিলস থাকলেই আপনি হতে পারেন একজন আইটি ফার্ম এর উদ্যোক্তা। এর জন্য আপনাকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার অথবা বি এস সি ইঞ্জিনিয়ার হতে হবেনা। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে কীভাবে আপনি আইটি ব্যাবসা শুরু করবেন তার কোনো প্রকার ভালো গাইডলাইন অথবা রিসোর্স নেই।
আমি এই আর্টিকেল আমার পার্সোনাল অভিজ্ঞতা শেয়ার করবো ঠিক যেভাবে আমি আমার নিজের ফার্মটি গড়ে তুলছি। আমার ফার্ম এর নাম Madenet IT (http://madenetit.com)। আমি এই ফার্ম এর কার্যক্রম গত দুই বছর ধরে পরিচালনা করছি। প্রতিটি দিন কিছু নতুন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে আমাদের এবং আমরা সবাই মিলে তা সমাধান করার চেষ্টা করি। আমি ভাল লিখতে পারি না তাই যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার চোখে দেখবেন 🙂
এখন কথায় আসি, আমি প্রথমেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আপনাদের সামনে তুলে ধরবো যা ছাড়া আমার মনে হয় না আপনারা বেশীদিন কোনও ফার্ম টিকিয়ে রাখতে পারবেন। নিচে পয়েন্ট গুলো তুলে ধরছি যে বিষয়গুলো আপনাদেরকে বুঝাব।
ফ্রীলেন্সার হয়ে তৈরি করুন নিজের আইটি ফার্ম


আমি কাজগুলো ৫ টি পোস্টে বিভক্ত করব
১) কীভাবে শুরু করবেন ফ্রীলেন্সিং এবং ফ্রীলেন্সিং এ কীভাবে কাজ করা উচিৎ ?
২) কীভাবে একটি টিম তৈরি করে অফিসিয়াল ফরমেটে কাজ করবেন ?
৩) কীভাবে একটি টিম মেনেজ করে ফ্রীলেন্সিং প্রজেক্টে কাজ করতে হয়?
৪) কীভাবে ক্লায়েন্ট বা মার্কেটপ্লেসে কাজ না করে নিজের টিম দিয়ে একটি অতিরিক্ত রয়্যালটি আয় করা যায়? যা আপনার অফিস এবং টিম এর খরচ হয়ে যাবে।
৫) কীভাবে অন্যান্য স্কিলস এর কাজ নিজের ফার্মে করাবেন এবং নিজের অফিসের জন্য একটি বড় ম্যানেজমেন্ট তৈরি করবেন ?
কীভাবে শুরু করবেন ফ্রীলেন্সিং এবং ফ্রীলেন্সিং এ কীভাবে কাজ করা উচিৎ ?

1. Learn any one kinds of IT related skill or service
শুরু করার প্রথমেই সমস্যা যে কী শিখবো? এবং কীভাবে শিখবো?
Google.com এবং ইউটিউব ইউটিউব শুনেছেন নাম? যদি না শুনে থাকেন তাহলে আমার অনুরুধ এই আর্টিকেল টি পড়বেন না কারণ এইটা আপনার জন্য না।
যদি জেনে থাকেন তাহলে লিখুন ” best freelancing IT service in 2018″
আমার পার্সোনাল রিসার্চ অনুযায়ী বর্তমানে পপুলার সার্ভিস গুলোর মধ্যে রয়েছে
১) Web programming or web design and development
২) WordPress development
৩) Graphics design
৪) Video editing
৫) Digital marketing
৬) App development (growing TRend)
এই বিষয়গুলো বর্তমানে আইটি রিলেটেড সার্ভিস গুলোর মধ্যে জনপ্রিয়। এই বিষয়গুলোর উপর মার্কেটপ্লেস অথবা ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে সব থেকে বেশী কাজ পাওয়া যায়।

2. Deeply analyze for good opportunity and Future for earn
১ মাস সময় নিয়ে সবগুলোতে কাজ শিখার চেষ্টা করুন। তারপর ভাবুন যে এই সার্ভিসগুলোর মধ্যে আপনি কোন কোনটি করে স্বাচ্ছন্দ্য এবং এন্টারটেইনমেন্ট মনে করেছেন। আপনার কাছে যে বিষয়টাতে কাজ করতে ভালো লাগবে ঠিক সেই বিষয়ের উপর শেখা শুরু করে দিন।
মনে রাখবেন, এই বিষয়গুলোর মধ্যে আপনি যদি একটি সার্ভিস নিয়ে কাজ করেন তখন অনেক টাইপের কাজ পাবেন এবং অনেক লেভেল থাকবে ওই একটি কাজের মধ্যে। মার্কেটপ্লেস এর মধ্যে সব থেকে সহজ কাজ করার জন্য কাজ শিখবেন না। তাহলে হয়তবা আয় করতে পারবেন কিন্তু টিম ওয়ার্ক বা আইটি ফার্ম দেওয়ার কোনো যোগ্যতাই আপনার থাকবেনা। তাই বিষয়টির উপর নিজের দক্ষতার লেভেল বৃদ্ধি করতে থাকুন। যাতে করে কোনো কাজে আপনার বায়ার এর জন্য অপেক্ষা করতে না হয় তাহলে ফার্মে কাজ করানোর জন্য কাজ পাবেন না। তাই একটি সার্ভিস এর সকল বিষয়ে দক্ষ হতে হবে।
কাজ শেখা হয়ে গেলে এইবার কাজে নামুন। প্রথমে ফ্রীতে কাজ করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। নিজের দক্ষতা যাচাই করুন। আপনি যদি ফ্রীতে কারো কাজ করে দেন তাহলে মনে হয় না যে কেউ কাজ দিবেনা ?
তাই যেকোনো ফার্মে ফ্রী তে কাজ করে দিন। যদি ফার্মে জব না পেয়ে থাকেন তাহলে যেকোনো ফ্রিল্যান্সার এর কাজ থেকে কাজ নিন এবং তা ফ্রীতে করে দিন। এতে করে আপনার একটি রিলেশন বিল্ডআপ হবে এবং আপনি আরো সুবিধা পাবেন যা বোঝানো পসিবল না।

3. Work for 1 year minimum to understand clients need
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট করে কাজ নেওয়ার জন্য চেষ্টা করুন। যদি ফার্ম দেওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে অবশ্যই মাল্টিপল মার্কেটপ্লেস এ একাউন্ট করার চেষ্টা করুন। তাতে করে আপনি কখনো কাজ ছাড়া থাকবেন না। ক্লায়েন্ট এর সাথে নুন্নতম ১ বছর কাজ করুন তাহলে বুঝতে পারবেন যে একটি সার্ভিস এর উপর ক্লায়েন্ট এর কী কী ডিমান্ড থাকে এবং আপনার টিম এর জন্য কী কী স্কিলস থাকা প্রয়োজন। কাজ শিখা এবং লাইভ কাজ করার মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ।
কাজ পাওয়ার জন্য ছোট্ট টিপস:
১) যেকোনো তিনটি মার্কেটপ্লেস এ কাজ করার চেষ্টা করবেন।
২) মার্কেটপ্লেসগুলোতে একাউন্ট করেই মার্কেটপ্লেস এর নিয়ম কানুন সবকিছু জেনে নিন। এই কাজ টা অনেকেই করেনা তার কারণে বড় ভাই দের সাহায্য আর ধর্না দিতে হয়। আগে ভালো করে মার্কেটপ্লেস কাজ করার নিয়ম টা জেনে নিন।তাহলে দেখবেন কাজ পেতে ৫০% সহজ হয়ে যাবে।
৩) গুগোল অথবা ইউটিউবে ভিডিও দেখুন। এক্সপার্টদের এক্সপেরিয়েন্স পড়ুন। তাদের বিভিন্ন টিপস জোগাড় করুন তা কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।
৪) সোসিয়াল মিডিয়া তে নিজের দক্ষতা শেয়ার করুন এবং সোশাল নেটওয়ার্কিং তৈরি করে মার্কেটিং করুন।
৫) বার বার চেষ্টা করুন। কাজ পাবেন এবং নিজেকে শক্ত রাখুন যে আপনি পারবেন।

4. Join with a community for solve problems and ideas.
যেকোনো কমিউনিটি এবং ফোরাম গুলোতে অংশগ্রহণ করুন। প্রবলেম সলভ করার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনি প্রবলেম এ পরলে অন্য কেউ আপনাকে হেল্প করছে। বিভিন্ন এক্সপার্ট লোকদের সাথে কমিউনিকেশন বিল্ডআপ করুন। তাহলে অনেকটুকু কনফিডেন্ট বাড়বে এবং কাজ করতে ভালো লাগবে। কাজ করার সময় আমরা অনেক ঝামেলায় পরে থাকি এবং অনেক কিছুই গুগল বা ইউটিউব থেকে সমাধান করা যায় না। যদি আপনি কোনও ফোরাম বা কমিউনিটি তে অংশগ্রহন করে থাকেন তাহলে সকল ফোরাম বা কমিউনিটিতে অনেক এক্সপার্টরা থাকেন তাঁরা আপনার সমস্যার সমাধান করে দিতে পারবেন। অবশ্যই অন্যদের সমস্যার সমাধান জানা থাকলে টা সমাধান করে দিন। Don’t feel alone at work।
Post will be continue………………….
কীভাবে একটি টিম তৈরি করে অফিসিয়াল ফরমেটে কাজ করবেন ?

Source:  Prince Chowdhury